অন্যান্য

বাথরুমে বিজ্ঞান চর্চা

বাথরুমে প্রতিসরণ

বিজ্ঞান যে মানুষের মাথায় সর্বদা কাজ করে আজ তা বুঝলাম বাথরুমে গিয়ে। গোসল উপলক্ষে বাথরুমে গিয়েছি। কিছু সময় বালতির পানির দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছি। হঠাত্‍ শখ হল যে, বালতির পানিতে মাথা ডুবিয়ে গোসল করব (পুকুরের মত)। পানির উপর থেকে বালতির তলাটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। কিন্তু পানিতে মাথাটা ডোবানো মাত্রই সব ঘোলাটে হয়ে গেল। ব্যাপার টা কী? পানির উপর থেকে স্পষ্ট কিন্তু ভেতর থেকে ঘোলা! মাথা পুরো এলোমেলো হয়ে গেল। অনেক চিন্তা করেও কোনো কিনারা পেলাম না। হঠাত্‍ খেয়াল হল যে, আমি বায়ু থেকে তলাটা দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু মাধ্যম পাল্টে বায়ু থেকে পানি হলেই আর বালতির তলা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। কারণটা এবার বুঝলাম। বায়ু মাধ্যমে আলোর বেগ আর পানিতে বেগ সমান নয়। আর বায়ু থেকে বালতির তলা দেখার ক্ষেত্রে আলো প্রতিসরিত হয়ে আমাদের চোখে প্রবেশ করে। কিন্তু পানির নিচ থেকে দেখলে আলো প্রতিসরিত না হয়ে সরাসরি চোখে পড়ে। পানি যখন চোখের সংস্পর্শে আসে তখন পানির স্তরগুলো আমাদের চোখের সামনে একটা পাতলা অস্বচ্ছ পর্দার মত কাজ করে। ফলে তলা থেকে আগত আলোর রশ্মিগুলি বিক্ষিপ্তভাবে আমাদের চোখে পৌছে। আর তলা অস্পষ্ট দেখায়। একারণেই ডুবুরী ও সাঁতারুরা পানির তলায় যাবার আগে আই ফিটিং চশমা পরেন। এতে চশমা ও চোখের মাঝে কিছু বায়ু থাকে যা তাদের পানির তলে পরিষ্কারভাবে দেখতে সাহায্য করে।

About the author

সৌরভ সাহা

1 Comment

Leave a Comment